umorfaruksupto
বাংলাদেশের অনেক নাস্তিকের প্রশ্ন করেন: "সূর্যের চারদিকে পৃথিবী ঘুরে—এটা কেন কুরআনে নেই❓"।
📝📝কিন্তু সূর্যের চারদিকে পৃথিবী সরাসরি ঘোরে না। বরং, পদার্থবিদ্যার দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবী এবং সূর্য উভয়ে তাদের Barycenter বা ভরকেন্দ্রকে কেন্দ্র করে ঘুরে। এই Barycenter হলো সেই পয়েন্ট যেখানে দুটি জ্যোতিষ্কের ভর সুষমভাবে কাজ করে।
যেমন, যদি দুইটি বস্তুর ভরের মধ্যে পার্থক্য থাকে, তবে ভর বেশি থাকা বস্তুটি বারিসেন্টারের কাছাকাছি থাকে, এবং ভর কম থাকা বস্তুটি বেশি দূরে ঘোরে। উদাহরণস্বরূপ, পৃথিবীর ভরের তুলনায় সূর্যের ভর অনেক বেশি, তাই বারিসেন্টার সূর্যের ভেতরে অবস্থান করে।
কুরআনে বলা হয়েছে:
"তিনি (আল্লাহ) রাত্রি ও দিনের সৃষ্টি করেছেন, এবং সূর্য ও চন্দ্রকে। প্রত্যেকটি তার নিজ নিজ কক্ষপথে সঞ্চরণশীল।"
সূরা আল-আম্বিয়া (২১:৩৩)
এখানে উল্লেখিত "يَسْبَحُونَ (যাসবাহূন)" শব্দের অর্থ হলো সাঁতার কাটা বা ভাসমান থাকা, যা নির্দেশ করে যে সূর্য, চন্দ্র এবং অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তু নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরছে বা গতি করছে।
✅✅এখানে কে কাকে কেন্দ্র করে ঘুরছে তা স্পষ্টভাবে বলা হয়নি। এবং আধুনিক বিজ্ঞানও দেখিয়েছে যে, কেউ আসলে সরাসরি কারো চারপাশে ঘুরছে না, বরং সবাই তাদের বারিসেন্টারকে কেন্দ্র করে কক্ষপথে আবর্তিত হয়।
এটা প্রমাণ করে যে কুরআনের বাণী এবং আধুনিক বিজ্ঞানের তথ্য পরস্পর সামঞ্জস্যপূর্ণ। কুরআন সর্বদা বিস্তৃত ধারণা প্রদান করে যা যুগে যুগে মানুষ নতুন জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারে .
No comments yet. Be the first to share your thoughts!