sayed
রান্না একটি শিল্প, আর কিছু সহজ কৌশল জানা থাকলে সেই শিল্প হয়ে ওঠে আরও নিখুঁত ও আনন্দদায়ক। নতুন রাঁধুনি থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ, সকলেরই কাজে লাগবে এমন কিছু দরকারি টিপস নিচে দেওয়া হলো যা আপনার রান্নাকে সহজ করবে এবং খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেবে বহুগুণ।
স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়ানোর কৌশল
* মাছ ও মাংস: মাছের তরকারি নামানোর ঠিক আগে সামান্য ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে দিন, এর সুগন্ধে খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যাবে। একইভাবে, যেকোনো মাংসের ঝোল বা ভুনা রান্নার শেষে অল্প ভাজা পেঁয়াজ (বেরেস্তা) যোগ করলে একটি শাহী স্বাদ আসবে।
* ডাল: ডালের আসল স্বাদ তার ফোঁড়নে। গরম তেলে রসুন কুচি সোনালি করে ভেজে ডালে মিশিয়ে দিন। এই সাধারণ 'বাগার' বা 'ফোঁড়ন' আপনার সাধারণ ডালকেও অসাধারণ করে তুলবে।
* এলাচ: তরকারিতে গোটা এলাচ ব্যবহার না করে এর গুঁড়ো ব্যবহার করুন। এতে মুখে পড়ার ভয় থাকবে না এবং এর সুগন্ধ পুরো রান্নায় ভালোভাবে মিশে যাবে।
রান্নার সাধারণ ভুল সংশোধনের উপায়
* অতিরিক্ত লবণ: তরকারিতে লবণ বেশি হয়ে গেলে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। কয়েকটি আলুর টুকরো বা ময়দা মেখে ছোট ছোট বল তৈরি করে তরকারিতে দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। আলু বা ময়দার বল অতিরিক্ত লবণ শুষে নেবে। পরিবেশনের আগে এগুলো তুলে ফেলুন।
* অতিরিক্ত হলুদ: রান্নায় হলুদের পরিমাণ বেশি মনে হলে একটি স্টিলের চামচ বা খুন্তি আগুনে ভালোভাবে গরম করে তরকারির মধ্যে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। এটি হলুদের অতিরিক্ত গন্ধ এবং কাঁচা ভাব কমাতে সাহায্য করবে।
* অতিরিক্ত তেল: কোনো ভাজি বা তরকারিতে তেল বেশি হয়ে গেলে কড়াই বা প্যানটি একপাশে কাত করে রাখুন। এতে অতিরিক্ত তেল একদিকে জমা হবে, যা পরে চামচ দিয়ে তুলে নেওয়া যাবে। এই তেল অন্য রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন।
প্রস্তুতি ও সুরক্ষার জন্য টিপস
* ডিম সেদ্ধ: ডিম সেদ্ধ করার সময় পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে নিন, এতে ডিমের খোসা ফাটবে না এবং স্বাদও ভালো হবে। সেদ্ধ ডিম গরম অবস্থায় না ছিলে, সম্পূর্ণ ঠান্ডা হওয়ার পর ছিলুন। এতে খোসা সহজেই উঠে আসবে এবং ডিম নষ্ট হবে না।
* সবজির রঙ: সবুজ সবজির প্রাকৃতিক রঙ ঠিক রাখতে ঢাকনা ছাড়া রান্না করুন। এছাড়া কিছু সবজি হালকা ভাপিয়ে নিয়ে বরফ-ঠান্ডা পানিতে রাখলে রান্নার পরও তাদের উজ্জ্বল রঙ বজায় থাকে।
* রসুন ও লেবু: রসুনের খোসা সহজে ছাড়ানোর জন্য রান্নার কিছুক্ষণ আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে খোসা নরম হয়ে যাবে। অন্যদিকে, যে লেবু থেকে রস বের হতে চায় না, সেটিকে কিছুক্ষণ গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখলে সহজেই অনেক রস পাওয়া যাবে।
* সর্ষে বাটা: সর্ষে বাটার সময় তিতা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। এটি এড়ানোর জন্য সর্ষের সাথে কয়েকটি কাঁচামরিচ ও পরিমাণ মতো লবণ একসঙ্গে বাটুন। এতে সর্ষের তিতা ভাব থাকবে না।
* রান্নাঘরের নিরাপত্তা: শুকনা মরিচ ভাজার সময় একটি ঝাঁঝালো গন্ধ তৈরি হয়, যা থেকে হাঁচি বা কাশি হতে পারে। তাই এসময় রান্নাঘরের দরজা-জানালা খুলে দিন এবং বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন। গরম পাত্র বা ঢাকনা সব সময় কাপড় বা ধরার বস্তু দিয়ে ধরুন। মাছ ভাজার সময় তেল ছিটকে চোখে-মুখে লাগতে পারে, তাই কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে রান্না করুন।
No comments yet. Be the first to share your thoughts!